বুধবার, ০২ Jul ২০২৫, ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন

প্রাথমিকের নিয়োগ বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আজও শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে বাতিল হওয়া নিয়োগ ফিরে পাওয়ার দাবিতে আজ মঙ্গলবারও রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

এদিকে, আলোচনার জন্য তাদের একটি প্রতিনিধিদল যাচ্ছে সচিবালয়ে।

মঙ্গলবার দুপুর সোয়া দুইটায় শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে প্রতিনিধিদল সচিবালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

প্রতিনিধিদলে রয়েছে সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষক- পিয়াস তালুকদার, নওরিন আক্তার, জান্নাতুল নাইম, মালা বোস, শামীমা আক্তার, রাশেদ শাহরিয়ার।

 

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, “কিছু লোকজন জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান করছেন। তবে তারা আজ সড়ক অবরোধ করেননি। অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে আছেন। ”

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগের দাবি জানাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।

 

আন্দোলনকারীরা বলেছেন, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি তিনটি ধাপে দেওয়া হয়েছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু তৃতীয় ধাপ নিয়ে প্রহসন চলছে।

একই দাবিতে আন্দোলনকারীরা সোমবার সকাল থেকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনের সড়কে অবস্থান করছিলেন।

ওই দিন বেলা একটার দিকে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। অবরোধে শাহবাগ মোড় দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে বেলা দুইটার দিকে পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পুলিশ দফায় দফায় লাঠিপেটা, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। পুলিশের লাঠিপেটায় বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হন।
 

পুলিশের লাঠিপেটার পর আন্দোলনকারীরা সড়ক ছেড়ে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন। আন্দোলনকারীরা বলছেন, তারা সোমবার রাতভর জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়ে ছিলেন। আজও আছেন। দাবি আদায় না হলে তারা সরবেন না।

আন্দোলনকারীদের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ১৪ জুন তৃতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। লিখিত পরীক্ষা হয় ২০২৪ সালের ২৯ মার্চ। লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয় একই বছরের ২১ এপ্রিল। ১২ জুন সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। আইন মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে ৩১ অক্টোবর ফল প্রকাশিত হয়। এতে ৬ হাজার ৫৩১ জন চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। সুপারিশপ্রাপ্ত হননি, এমন ৩১ জন হাইকোর্টে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ৬ ফেব্রুয়ারি বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট।

 

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024